My Attitude!

My Attitude!

Pages

My Blog List

Meet and Recognise-- I, Me and MySelf...!

@@@ ~WELCOME TO MY CYBER WORLD~ @@@











~~~ I am My Own Music, People Want to Get in Touch With Me... Play Your Lyrics By My Rhythm ~~~



Tuesday, May 19, 2015

একটি বিকট বিতর্ক ও কিছু বেয়াড়া বাওয়াল প্রশ্ন :

সলমান খানের শাস্তি , তাঁর ‘বিয়িং হিউম্যান ‘ কাজকর্ম , গায়ক অভিজিতের বিতর্কিত বাইট নিয়ে মিডিয়ায় হেব্বি বাওয়াল হল ।

‘গ্লোরি অফ ডেথ’ অথবা ‘গ্লোরি অফ ফেলিওর’ এই হল মোদ্দা কথা ।
১২৫ কোটির মহান দেশে জন্মহারের চেয়ে মৃত্যুহার অনেক পুওর (মানে কম । ভুলেও ‘গরিব’ টরিব ভাব্বেন না )।
তবু মৃত্যু এদেশে বিরাট 'বিষয়' ।

বাঁচন্তির ‘পক্ষে’র লোকেরা যে মূহুর্তে চেঁচাবে, 'মদ্যপ ড্রাইভারের ফাঁসি চাই । গরিবের অধিকার বাঁচাও কমিটি গড় । রাস্তা কি বড়লোকের বাপের ?'

অমনি, বাঁচন্তির ‘বিপক্ষে’র লোকেরা সওয়াল করবে ‘ ন্যালাগুলো বেকায়দায় ঘুমাবে , গাড়ি এলে সরে যেতে পারবে না , ফিটনেস নেই , কিন্তু দুচার পিস টেঁসে গেলে শালা পাতাখোড়ও ট্যাগ খাবে সুপ্রিম শহিদ !’

কথা হল , গাড়ি মদ খেয়ে চালানো বেআইনী ঠিকই , ফুটপাতে গাড়ি তুলে দেওয়া আরো বে আইনি । গাড়ির উপর নিয়ন্ত্রন না থাকা ও ফুটপাতবাসিকে খুন করা ( হোক না তা অনিচ্ছাকৃত) সওয়ারির অবশ্যই ফাঁসি হওয়া উচিৎ । 
সব বুঝলাম ।

কিন্তু বলুন তো, ফুটপাত জুড়ে শুয়ে থাকা কোন ধারায় আইন সম্মত ?

গাড়ির তলায় এসে পড়া লোকজন সব সময় গাড়ির মালিককে টার্গেট করে । রোড অ্যাক্সিডেন্টে যে ক’টা  পিস আদমি শাস্তি পায়, সব ড্রাইভার । একটাও পথচারী নয় । ট্রাফিকের সতর্কতা, মোবাইলে সতর্কতা কিছুই পথচারীরা বা পথবাসীরা শুনবেন না ।

কেন ?
কারন ,                                                         
‘যব তক সুরজ চাঁদ রহেগা / রাস্তে পে আপনা ঘর রহেগা !’

আমরা, আম জনতা যেমন খুশি রাস্তাকে ব্যবহার করব , হাঁটব ,দৌড়াবো, মদ্যপ অবস্থায় মাপব, খাব, হাগব , মুতব, শোব , গড়াগড়ি খাব কিন্তু কোনো গাড়িওয়ালা যদি নিশানায় বেখেয়ালে এসে যায় তাইলে শালার হিউম্যান রাইটকে এমন যমের দুয়ারে পাঠাবো যে জীবনে লোকে তাকে 'হিউম্যান' ডাকবে না , হনুমান ডাকবে !

National Crime Record Bureau  অনুযায়ী ২০১৩ সালে গড়ে প্রতিদিন ৩৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে পথ দূর্ঘটনায় । রোজ আহত হচ্ছেন ১২৮৭ জন । এত এত দূর্ঘটনা , এত এত মৃত্যু সব কী স্রেফ ড্রাইভারের দোষ ? বুক ঠুকে বলুক তো ফুটপাতের আম-নাগরিক !

একথা ঠিক যে, বেশীর ভাগই ড্রাইভারের দোষ । কিন্তু সড়ক দূর্ঘটনা মানেই যে ড্রাইভার ভিলেন এটা কি খুব সত্য ?

সরকারি খতিয়ান বলছে , ২০১১ সালে ভারতে যত পথ দূর্ঘটনা হয়েছিল তার মধ্যে ২২.৫% ক্ষেত্রে ড্রাইভারের দোষ ছিল না । দোষ ছিল পথচারীর বেপরোয়া মন , যান্ত্রিক গোলোযোগ , খারাপ রাস্তা , খারাপ আবহাওয়া ইত্যাদি অনেক কিছু ।

আর এটা তো সত্য , পথ দূর্ঘটনা পথেই ঘটবে । বেডরুমে নিশ্চয় নয় । কাজেই পথের মধ্যে বা ধারে রয়েছেন যিনি সচেতন থাকাটা তারও আশু কর্তব্য নয় কি ? নাকি ঘুমে অচেতন থাকা বা ফুটপাতকেই হকের বিছানা ধরে গড়াগড়ি খাওয়াটা খুব ন্যায় সঙ্গত ?

রাস্তা বা ফুটপাথ যেমন বড়লোকের বাপের সম্পত্তি নয় , তেমনি গরিবের গত জন্মদিনেও কোনো চ্যারিটি হোম তাদের সেটা গিফট করেনি ।

কলকাতার বহু ফুটপাতে হাঁটার অবস্থা নেই ।
মধ্যবিত্তের ট্যাক্স দিয়ে বানানো শহরের চলাচলের জায়গা আজ বেআইনিভাবে বেহাত হয়েছে । অন্য এক কলকাতা ঘুমায় সেখানে প্রতিদিন প্রতিরাত । কেন ? এই ফুটপাতে হাঁটার অধিকার আমাদের নেই ? মনে রাখবেন , ফুটপাত দিয়ে না হাঁটাও কিন্তু দূর্ঘটনার কারন । ফুটপাতে ঘর-বাঁধা, পথকে আরও দূর্ঘটনাপ্রবন বানিয়েছে ।
পথে হাঁটা মানুষের ঝুঁকি বাড়ছে , পথের পাশে বসবাসকারীদের জীবন বিপন্ন করছে । এই দখলদারি কি বেআইনি নয় ?

রাস্তা ছাপিয়ে ফুটপাত দখলকারি ঝোপাড়-মহল্লাকে যদি সমর্থন দিতে হয়, তাহলে ফুটপাতে উদ্ধত দাঁড়িয়ে থাকা বেআইনি হকারদের অবস্থানকেও খুলে আম সমর্থন দিতে হবে । এই হকাররাও ত পেটের টানেই ফুটপাতে বসেন । তবে কলকাতার হাতিবাগান , গড়িয়াহাট, নিউ মার্কেট, বড় বাজার অথবা অন্য নানা ছোট শহরগুলোর বেদখল হয়ে যাওয়া ফুটপাত নিয়ে হা-হুতাশ কেন শহুরে মধ্যবিত্তের ?

এবার অনেক বুদ্ধিজীবি হাঁ হাঁ চেঁচাবেন , ফুটপাত কি কেউ শখ করে বেছে নেয় ? গরিবের সাধ আছে সাধ্য নেই । তাইবলে বাঁচার অধিকার নেই ? অ্যাঁ !

না , কথা একদম তা না । খুব সত্য কথা কয়েছেন তেনারা ।

এবার একটু ভাবুন তো,  দূর্ঘটনায় পা-হারানো আব্দুল্লা রউফ শেখ তো কাজ করতেন আমেরিকান এক্সপ্রেস বেকারিতে । তাহলে বেকারির কর্মচারিকে কেন বেকারির সামনের ফুটপাতেই রাত গুজরান করতে হয় ? সে দায় তো তারাও এড়াতে পারেন না । রাতে খোলা আকাশের নীচে শুয়ে যাদের প্রান গেল গাড়ির চাকার তলায় তাদের সুরক্ষার দায় অবশ্যই রাষ্ট্রের ছিল । ছিল না কি ?

রোটি কাপড়া আউর মাকান --- এই তিন কিন্তু আমাদের মৌলিক অধিকার , সংবিধান সম্মত ভাবে ।

যে দেশ তার নাগরিকের মাথার উপর ছাদ দিতে পারে না , তার আইনই যদি সেই নাগরিকের মৃত্যুর বিচার চালায় তাকেই বা কতদূর নিরপেক্ষ বলা যায়? প্রশ্ন থেকেই যায় ।

প্রশ্ন আরো জমে , যদি সালমান দোষি হন , শাস্তি পান , তাহলে মুম্বাই কর্পোরেশন কি একই দায়ে দুষ্ট নয় ?
দায় কি এড়াতে পারে শহরের পৌরপিতা থেকে ৬৮ বছরের স্বাধীন ভারত , স্বয়ং ?

আবার এটাও ঠিক , এর আগে বহুবার নানা চাপে পড়ে ফুটপাত বাঁচানো ও দূর্ঘটনা এড়াতে সরকার নানা শহরে বস্তিবাসীদের জন্য নয়া আবাস গড়ে দিয়েছিল , হকারদের জন্য আলাদা হকারস মার্কেটও গড়েছিল ।
কিন্তু কেউ ওই আবাসে থাকেন নি বা ওই ছিমছাম দোকানে পসরা সাজান নি । ভাড়া দিয়েছেন মোটা টাকা আদায়ের জন্য আর নিজেরা ফিরে গেছেন শখের ফুটপাতে । এগুলো দোষের না ? বেআইনি না ?

‘নবান্ন’ নাটকে বিজন ভট্টাচার্য্য বুভুক্ষু মানুষ আর কুকুর এর সহাবস্থান দেখিয়েছিলেন  একই ডাস্টবিনের সামনে । ক্ষুধার যন্ত্রনা হয়তো চেহারা পাল্টেছে কিন্তু মানুষ আর কুকুরের ফারাকটা সেদিনও যা ছিল আজও তাই । কিন্তু এই সত্য আমরা মেনে নিতে পারি নি ।

‘পথের পাঁচালী’ হোক , ‘স্লাম ডগ মিলিয়নিয়ার’ হোক , ভারত কিন্তু বিশ্বের বাজারে ‘গরিবি’ বেচেই অস্কার জেতে ।
তাই গায়ক অভিজিতের ওই ‘কুত্তা কা মউত’ নামক বিতর্কিত ওয়ান লাইনার নিয়ে যতই বাওয়াল হোক না কেন, আমরা কিন্তু ঘুমিয়ে রয়েছি মহান ভারতের ফুটপাতেই ।
সে তুমি যতই ভিভিআইপি হও না কেন !

মোদ্দা কথা হল , ফুটপাথ সঙ্গমে  ভারত আজও বিশ্বে একমবাদ্বিতীয়ম !  


Thursday, May 14, 2015

ইসলামিক সন্ত্রাসে শুধু মানুষ নয় , বিপন্ন সভ্যতার ইতিহাসও .

ধর্মের ক্লেদ আর মিথ্যে বেহেস্তিয় সুখের জিগির তুলে একের পর এক ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে যে জাতি তারা মুসলমান বা আরো স্পষ্ট করলে ইসলামীয় সন্ত্রাসী । মানুষ মারা, মুন্ড নিয়ে ফুটবল খেলা জাত আজ এই গলা কাটা বিনোদনে ক্লান্ত হয়তো । তাই এবার তারা ইতিহাসকে পৃথিবী থেকে মুছে ফেলতে বদ্ধপরিকর ।

জওহরলাল নেহেরু তাঁর Discovery of India বইয়ে লিখেছিলেন , "ভারতে ও তার বাইরে এমন স্থান খুব কমই আছে যেখানে এর পুরাতন স্মৃতিসৌধ , ভারতীয় সংস্কৃতি বিশেষত বৌদ্ধ যুগের এত চিহ্ন দেখা যায় - যেমন মেলে আফগানিস্থানে ।" 
সৈয়দ মুজতবা আলী লিখেছিলেন " যেদিন বৃহত্তর দৃষ্টি দিয়ে দেখতে শিখব সেদিন জানব যে ভারতবর্ষ ও আফগানিস্থানকে পৃথক করে দেখা পরবর্তি যুগের কুসংস্কার ।"

যে ভারতে মিশে আছে কনিষ্ক-এর বুদ্ধ স্তুপ , আমির খসরু- রুমি , বাবর, গান্ধারী এরা সবাই বিনাকাঁটা তারেই এসেছিলেন সে দেশে ।
যে কনিষ্ক ভারত শাসন করেছিলেন সেই একই জন আফগানিস্তানেও করেছিলেন । বাবর যেমন ওই দেশের তেমনি ভারতেরও । ইতিহাসের যৎসামান্য সন্মানপ্রাপ্ত নারীদের মধ্যে একজন গান্ধারীও নাকি এসেছিলেন হিন্দুকুশ পর্বত পেরিয়েই ।
প্রথম শতাব্দীতে বৃহৎ ভারতের বহু ধর্মপ্রচারক চীন- তীব্বত- মধ্য এশিয়া হয়ে আগফানিস্তানের হিন্দুকুশ পর্বতমালায় যে পথে বেনিয়ারা পশরা সাজিয়ে চীন থেকে মধ্য এশিয়া পর্যন্ত বানিজ্য করতে যেতেন, সেই ঐতিহাসিক পথের ধারে বৌদ্ধ সাধুরা পাথর কেটে তৈরী করেছিলেন অসংখ্য গুম্ফা , পরে যেগুলি হয়ে উঠেছিল,  ধর্ম- দর্শন-শিল্পকলার চর্চাকেন্দ্র ।
বৌদ্ধ মঠ- গুম্ফা - শিলালীপি - মুদ্রা তথা অসংখ্য পুরাকীর্তির আকরভূমি হল এই আফগানিস্তান । কুষান আমলে বামিয়ানে তৈরী 'বামিয়ান বৌদ্ধমূর্তি' ছিল পৃথিবীর দীর্ঘতম বৌদ্ধ মূর্তি । যা অন্যতম World Heritage site হিসেবে ঘোষনা করেছিল UNESCO .
এছাড়াও আছে ...
টাইগ্রিস নদীর তীরে মেসোপটেমিয়া সভ্যতার অন্যতম নিদর্শন ছিল আসিরীয় সভ্যতা । মানুষের সভ্যতার উষাকাল থেকে উজ্জ্বল হয়ে ছিল আসিরিয় সভ্যতা । আসিরিয়ার রাজধানী নিমরুদের ধ্বংস স্তুপ থেকে বহু চেষ্টায় পুরাতাত্ত্বিকরা উদ্ধার করেছিলেন সেই সময় কালের মূর্তি- ভাস্কর্য- লিপি । যা মানুষের সুপ্রাচীন ইতিহাসের নিরব দলিল ।

সেইসব সভ্যতার আকরভূমি , মানুষের সুপ্রাচীন ইতিহাসের দলিলগুলির ধারক দেশগুলি আজ জ্বলছে । ধর্মের অন্ধকূপের আগুনে জ্বলতে জ্বলতে একটু একটু করে ছাই হয়ে মিশে যাচ্ছে আইসিস - তালিবান অধ্যুসিত আজকের ধুসর আকাশে ।
যে আফগানিস্থানকে ছোটবেলায় চিনেছিলাম রবী ঠাকুরের 'কাবুলিওয়ালা'-র হাত ধরে ,সেই মরুভূমির আখরোট -বাদাম-পেস্তার গন্ধ মাখা দেশ আজ বারুদের গন্ধ আর মানুষের রক্তের গন্ধে দূষিত । টাইগ্রিস -ব্যবিলন-মসুল- আসিরীয়া -নিমরুদ এসব স্থানে এখন রাত্রীচারী জংগিদের অবাধ স্বাধীনতা ।

গজনীর সুলতান মামুদ যিনি সতেরোবার ভারত আক্রমণ করে সোমনাথ মন্দির ধ্বংস করে 'আইকনক্লাস্ট ' উপাধি পেয়ে কুখ্যাত হয়েছিলেন মানব সভ্যতার ইতিহাসে, তিনিও বামিয়ান বুদ্ধ মূর্তির গায়ে আঁচড় কাটার চেষ্টা করেন নি । কিন্তু তলিবানরা, পৃথিবীর অহংকার সেই সুউচ্চ মূর্তিকে গুঁড়িয়ে দিয়ে প্রমান করেছিল জেহাদের সঙ্গে সভ্যতা- সংস্কৃতির কোনো সম্পর্ক নেই । একবিংশ  শতকে তাদের যোগ্য উত্তরসুরী হিসেবে উঠে এসেছে আইসিস  (ইসলামিক স্টেট ) ।

টাইগ্রিসের তীরে ক্রমাগত হামলা চালিয়ে মেসোপটেমিয়া সভ্যতার নিদর্শনগুলি ধ্বংস করেছে । মাত্র কয়েক ঘণ্টার হাতুড়ি-শাবল -ছেনির আঘাতে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে নিমরুদের অমূল্য সব স্থাপত্য, মূর্তি , লিপি । পৃথিবী থেকে মুছে ফেলেছে খ্রীষ্টের জন্মের তেরোশো বছর আগের আসিরীয় নিদর্শন । হাতুরির ঘায়ে ধুলিস্যাৎ হয়েছে মসুলের জাদুঘর ।
ফেসবুক পেজে ইরাকের পর্যটন ও স্থাপত্য - প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক মন্ত্রকের আর্তনাদ ছাড়া আর কি বা অবশিষ্ট আছে ?

নিনেভের জাদুঘর ধ্বংসের ভিডিও আইএস ইন্টারনেটে প্রকাশ করেছে - প্রচার শাখা আল-হায়াত
আমরা দেখেছি হাজার হাজার বছরের ইতিহাস মূহুর্তে মাটিতে মিশছে হাতুড়ির আঘাতে । জঙ্গিদের বার্তা " পৈত্তলিকতা মুছতে এই হামলা !"
রাষ্ট্র সঙ্ঘ তীব্র নিন্দা করে বার্তা দিয়েছে , কড়া সমালোচনা করেছে আরো কিছু হিউম্যানিস্ট অরগ্যানাইজেশন । কিন্তু এতে থামে নি ওদের ধ্বংস যজ্ঞ ।

কত সব মূর্তি , ভাস্কর্য, যেগুলি তৈরী করতে মানুষের চেষ্টার ইতিহাস ছিল কয়েক শতাব্দী জুড়ে , সেগুলি মাটিয়ে মিশিয়ে ফেলতে সময় লাগল কয়েক ঘণ্টা মাত্র !
নিমরুদ থেকে প্রাপ্ত 'দু-ডানাওয়ালা সিংহ মূর্তি' গড়া হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব নবম শতকে । গুঁড়িয়ে দিয়েছে সেটাও । মিশরিয় সভ্যতার ওই এক অবস্থা , মরু প্রদেশের চিল শকুনেরাও নাকি গুটিয়ে রাখছে নখর-থাবা । ওদের চেয়েও ভয়ংকর এক জীব তার দাঁত নখ সব নিয়ে শ্মশানে পরিনত করছে সেইসব সোনালি শহরদের । 

টাইগ্রিস বা নীল নদ থেকে থেকে গঙ্গা-যমুনা কত দূর !

এভাবে একদিন ভারতের গৌরবময় নিদর্শনগুলোও এক এক করে মুছে যাবে ধর্মের ধ্বজাধারীদের হাতে । আমরা দেখছি আইএস তার ভারতীয় শাখা খুলছে এদেশে , তালিবান তো সেই কবে থেকে চোরাগোপ্তা পথে এদেশে ঢুকতে শুরু করেছে , এখনো চলেছে ঘাঁটি পাতা । সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ২০৫০ সালের মধ্যে ভারত হবে বৃহত্তম ইসলামিক রাষ্ট্র । তাহলে কোথায় আমাদের নিরাপত্তা ?
কোন জোরে আমরা বলতে পারি আমাদের সাধের তাজমহল, কুতুব মিনার, আগ্রা ফোর্ট , লাল কেল্লা , বুলন্দ দরওয়াজা, ফতেপুরসিক্রি , ঝরোখা -ই- দর্শন, বিবি-কা- মাকবারা , হাওয়া মহল, সোনার কেল্লা , গোলাপী শহর জয়পুর, রাজস্থানের বহু অমূল্য সব কারুকাজ বিশিষ্ট মহলগুলো সুরক্ষিত ?
কিংবা ,
কলকাতার ভিক্টোরিয়া, হাওড়া ব্রীজ, জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়ি, জোড়া গীর্জা, মাদার হাউজ ,  দক্ষিন ভারতের টুইন্স সিটি হায়দ্রাবাদ-সেকেন্দ্রাবাদ -এর নানা অতুলনীয় দ্রষ্টব্য স্থান, তিরুপতি মন্দির বা কন্যাকুমারিকা থেকে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ভারত মহাসাগরের বুকে দাঁড়ানো বিশাল বিবেক মূর্তি ও মিউজিয়াম খচিত বিবেকানন্দ পয়েণ্ট , বা সুউচ্চ রামানুজ মূর্তি -- এই সব যদি এভাবে হাতুড়ি ছেনির আঘাতে মুছে যায় ভারত সভ্যতা থেকে তাহলে কী নিয়ে মানব সভ্যতা গর্ব বোধ করবে ?

দুনিয়াজুড়ে মৌলবাদের উত্থান আর বিশেষভাবে বললে ইসলামিক মৌলবাদের উত্থান , রাজনৈতিক সমীকরন , আগ্রাসন , যুদ্ধ , ধর্মের অন্ধত্ব , কুসংস্কার , মস্তিস্কের জড়তা এই সব মিলিয়ে তৈরী হয়েছে এমন এক ফাঁস যা চেপে ধরছে সভ্যতার ইতিহাসের কন্ঠ । তৈরী করছে এই অসভ্য ইতিহাসের দলিল , যার শরিক আমরাও

ইতিহাস আমাদের মনে রাখবে এমন এক সময়ের বাসিন্দা হিসেবে , যে সময়ে আমাদের সবার জীবনে অস্থিরতা নিয়ে এসেছিল 'ধর্ম' নামক অলীক এক আদর্শ, 'ঈশ্বর -আল্লা' নামক অদৃশ্য কিছু উপাস্য -বিশ্বাস ও 'জেহাদ' নামক অদম্য এক রক্তের পিপাসা ।
চোখের সামনে আমরা দেখছি মানুষের হাতেই মানুষের তৈরি সভ্যতার ইমারতের ধ্বংস যজ্ঞ । গলার কাছে আটকে থাকা কষ্ট আর নিরবে কান্না ছাড়া, আর কিছুরই প্রকাশ হচ্ছে না