My Attitude!

My Attitude!

Pages

My Blog List

Meet and Recognise-- I, Me and MySelf...!

@@@ ~WELCOME TO MY CYBER WORLD~ @@@











~~~ I am My Own Music, People Want to Get in Touch With Me... Play Your Lyrics By My Rhythm ~~~



Sunday, August 31, 2014

'অনার কিলিং'-এর পর ২০১৪ তে নারী নিধনের নয়া অজুহাত 'লাভ জিহাদ'



শাস্ত্রে বলেছে ‘স্বধর্মে নিধনং শ্রেয়ঃ পরধর্মো ভয়াবহ’ ।




ভারতের নয়া গেরুয়া সরকারের অশুভ আঁতাতকামী দল 'রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ ' ও আরও কিছু দল নারী নিধনের একটি নয়া তরিকা বের করেছে একটি আপাত আঁতকে ওঠা নাম দিয়ে - 'প্রেম জেহাদ' ।


কি এই বস্তু ?


উত্তরপ্রদেশ , ঝাড়খন্ডসহ বিক্ষিপ্ত কিছু প্রদেশে ভিন ধর্মে বিয়ে করার পরে নব বিবাহিত মেয়েরা নানা ভাবে ঠকেছে ও অত্যাচারিত হয়েছে ।

তাই নিয়ে সারা দেশ জুড়ে হৈ চৈ । বলা হচ্ছে, মুসলিমরা পরিকল্পিত ভাবে, ষড়যন্ত্র করে অসহায় হিন্দু মেয়েদের প্রলুব্ধ করে বা স্রেফ ভয় দেখিয়ে, অথবা বলপ্রয়োগ করে প্রেমের অভিনয় করছে, তার পর নিকাহ্ নামা পড়িয়ে বেগম বানিয়ে পর্দানশিন করে ফেলছে। এর পিছনে নাকি রয়েছে আন্তর্জাতিক চক্র, যারা অর্থ জোগাচ্ছে ধর্মান্তরকরণের এই অভিনব প্রকরণে। এই সব ঘটনাকে ডাকা হচ্ছে ‘প্রেম জেহাদ’ বা ‘রোমিয়ো জেহাদ’ বা 'লাভ জেহাদ' রূপে ।

তার উত্তর দিতে উঠে পড়ে লেগেছে মুসলিম সংঘ বা মোল্লা গোষ্ঠি । এই বিষয়টির সাথে ইসলামের কোনো আঁতাত নেই ইত্যাদি বলে পালটা প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে তারা ।

এখন ব্যপারটা হল, হিন্দু মেয়েদের মুসলিম ছেলেদের প্রেমে পড়া ও পরিণামে ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়া ‘জেহাদ’ বলে গণ্য হবে কেন? কেনই বা ধরে নেওয়া হবে যে, প্রেম যখন জাতপাতের অবরোধ মানে না, তখন ধর্মের বা ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বাধা মানবে? হিন্দু ছেলের মুসলিম মেয়ের প্রেমে পড়া বা উল্টোটা কি এতই অসম্ভব কোনও প্রকল্প যে, তা অস্বীকার করতে একটা বিশাল আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের গল্প ফাঁদতে হবে? আসলে ভিন জাতে বিয়ে মানে তো কেবল পরিবারের এত দিনের খেয়ে পড়া মেয়ে / ছেলেটা হাত ছাড়া হল তাই নয় ; এত দিনের ধর্মচর্চাও জোড় ধাক্কা খেল প্রেমিক যুগলের আডাল্ট ডিশিসনের কাছে ।

হিন্দু পিতৃতন্ত্রের পক্ষে এই ‘পরাজয়’ শিরোধার্য করা তো দুঃসহ। এই পিতৃতন্ত্র আজও খাপ পঞ্চায়েতের ফরমান দিয়ে ঘরের মেয়ে-বউদের অসূর্যম্পশ্যা রাখতে চায়, স্বগোত্রে বিবাহ নিষিদ্ধ করে, অসবর্ণে বিবাহে চোখ রাঙায়, দলিত যুবকদের উচ্চবর্ণীয় মেয়েরা বিয়ে করলে বা প্রেম করলে জ্যান্ত ফাঁসি দেয় বা চণ্ডীমণ্ডপে মেয়েটিকে সমবেত ভাবে ধর্ষণ করে টাঙিয়ে বা পুড়িয়ে দেয়। হিন্দু নারী হিন্দু পুরুষের, হিন্দু পিতৃতন্ত্রের একান্ত লীলাক্ষেত্র। সেখানে কোনও অনধিকার প্রবেশ বরদাস্ত হবে না। পরিবার ও সনাতন ধর্মের মর্যাদা ও সম্মান রক্ষায় প্রয়োজনে বিধর্মীর দিকে ঝোঁকা মেয়েদের হত্যা করা হবে । তবু হিন্দু পুরুষের পৌরুষ কলঙ্কিত হতে দেওয়া যায় না।

বিজেপির সাংসদ যোগী আদিত্যনাথ তাই হুঙ্কার ছেড়েছেন— "ওরা যদি আমাদের একটা মেয়েকে বিয়ে করে, আমরা তবে ওদের একশোটা মেয়েকে বিয়ে করব।" মুশকিল হল, হিন্দু পুরুষের বহুবিবাহ বেআইনি। তার চেয়ে বরং মুসলিম বিদ্বেষ লালন করা ও ছড়িয়ে দেওয়ার সহজ পথটাই বেছে নেওয়া ভাল। বিদ্বেষ ও ঘৃণা অপেক্ষাকৃত সহজ হয়, যদি তাকে নারীর সম্ভ্রম, শ্লীলতা, সতীত্ব ও যৌনতার ধারণার সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নেওয়া যায়। 'প্রেম-জেহাদে'র ধারণাটা সে দিক থেকে বেশ উপযোগী । 'প্রেম জেহাদ' থেকে হিন্দু নারীদের রক্ষা করার নামে তাদের উপর নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ আরও কড়া হবে। তাদের বাইরে বের হওয়া, সকলের সঙ্গে অবাধে মেলামেশা করায় নিষেধের দেওয়াল উঠবে, তাদের সদ্য-সূচিত ক্ষমতায়নের প্রকল্প মাঝপথে ধাক্কা খাবে। প্রেম-জেহাদ থেকে রক্ষা করার অজুহাতে হিন্দু নারীর প্রতি পিতৃতন্ত্রের বৈষম্য ও পীড়ন আরও বৃদ্ধি পাবে। নারীর বিরুদ্ধে ঘটতে থাকা পারিবারিক ও সামাজিক হিংসাও আরও প্রতিকারহীন হবে। পরিবারের সম্মানরক্ষার নামে ‘বিপথগামী’ মহিলাদের নিধন বাড়তে থাকবে ।

এই ভিন জাতে বিয়ের ব্যাপারে প্রথম থেকেই নানা বাধা , অত্যাচার , অনার কিলিং ইত্যাদি আপদ বিপদ মেয়েদের জন্য একচেটিয়া বিষয় ছিলই । কি গুজরাটে ,কি মহারাষ্ট্রে , কিম্বা পশ্চিমবঙ্গে । এখন ধর্মব্যবসায়ীদের জারি করা এই নব্য আইটেমে এবার তাহলে হিন্দু মেয়েদের 'সম্মান' বাঁচাতে পায়ের বেড়ি আরও মজবুত করা হবে, মেয়েবেলা থেকে লালিত পাশের বাড়ির যুবকটির দিকে প্রমাতুর দৃষ্টিতে তাকানোমাত্র জবাই করার জন্য রামদা হাতে ছুটে আসবে রামপন্থি , গেরুয়া ধারী , তিলককাটা তাবৎ ধর্মরক্ষক বাহিনী ।

আন্তর্জাতিক বাজারে এমনিতেই মেয়েদের জন্য নিরাপদ কোনও দেশ নেই । এত দিন মুসলিম জেহাদি, তালিবানি, শরিয়তি নানাবিধ ফতোয়ায় জেরবার ছিল নারী জীবন । কি ঘরে, কি বাইরে সর্বত্র ধর্মের বেড়ি নিষিদ্ধ করেছে তাদের ঋজু চলাফেরা । না মানলে কোতল করেছে প্রকাশ্যে , নইলে ছুঁড়েছে ঢিল মৃত্যু না আসা পর্যন্ত । আবার অন্য ধর্মের মেয়েদের পছন্দ-অপছন্দের ডানা ছাঁটতে 'অনার কিলিং' এর নামে নির্বিচারে নারীহত্যাকে আধুনিক ধর্মরক্ষা, পরিবারের মান রক্ষার মত ডাকসাইটে নাম দিয়ে এসেছে সুশিল সমাজ । না, এটা ভাবলে ভুল হবে যে শুধু অবাঙ্গালি রাজ্যে-পরিবারেই মেয়েদের এই বলিপ্রথা চলছে ; বরং এই পঃবঃ এও এর ধারা চলে এসেছে । খোদ কলকাতাতেই একটি থানায় বোনের কাটা মুন্ড হাতে দাদা ধরা দিতে এসেছে - বুক ফুলিয়ে স্বীকার করেছে অনার কিলিং এর কথা ।

এবার এই নয়া 'লাভ জেহাদ' এর ধূঁয়া তুলে রাজনীতির কারবারি আর তাদের অশুভ মিত্রশক্তিরূপী সাম্প্রদায়িক দল গুলি যদি এইভাবে দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের জঘন্য খেলায় নেমে পড়ে তবে ভারতীয় মেয়েরা যাবে কোথায় ?

আমার চেনা কয়েক জন মুসলিম মেয়ে বাড়িতে শরিয়তি অত্যাচারের হাত থেকে নিস্কৃতি পাওয়ার জন্য স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়েছে হিন্দু প্রেমিকের হাত ধরে, তারা বিয়ে করেছে, সংসার পেতেছে সানন্দে । এবার এই ফতোয়ায় এসব হিন্দু-টার্ন্ড মেয়েদের কি পরিচয় হবে ? 'লাভ জেহাদ' নাকি গ্লোবাল ইস্লামাইজেশনের একটা নরমপন্থী প্ল্যান যার জেরে হিন্দু মেয়েরা তাদের হিন্দুত্ব খোয়াচ্ছে । কিন্তু যেসব হিন্দু ছেলেরা মুস্লিম মেয়েদের বিয়ে করেছে তাদের ক্ষেত্রে এটা কেমন বিষয় ? ভাববার কথা ।

ভাববার বিষয় এটাও যে, ইস্লামি শরিয়তি ফতোয়াই হোক , হিন্দু সংঘের ফতোয়াই হোক ধর্মের যূপকাষ্ঠ কিন্তু সর্বদা হাঁ-মুখ খোলা রেখেছে নারী রক্ত-মাংস-হৃদয় ভক্ষণের জন্যই । সব সংগঠন বা জামাত, পুরুষদেরই কেবল ক্লিনচিট দিয়েছে সব ক্ষেত্রে । এই ভিন ধর্মে বিয়ের ব্যাপারেও কেবল মেয়েদের 'রক্ষা' র নামে তাদের পায়ের শিকল মজবুত করতে নির্দেশ দিচ্ছে সব সমাজের অভিভাবকরা । যেন বিয়েটা কেবল একজন মেয়েই করে । 'অনার কিলিং' , ' স্টোন কিলিং ' , 'কিলিং ফর লাভ জেহাদ' রকমারি সব হাঁড়ি কাঠ । জবাইয়ের বকরি কিন্তু সেই একটি জাতই - নারী । যে হিন্দুই হোক , মুসলিমই হোক , ইজরাইলি হোক , ফিলিস্তিনী হোক , ভারতীয় হোক, বাংলাদেশি হোক, পাকিস্তানী হোক , হিন্দীভাষী হোক কিম্বা বাঙালি হোক ... শেষমেশ তুমি এক তাল মাংসপিন্ডমাত্র যা জন্ম হইতেই পুরুষ-সমাজ-জাতধর্ম ইত্যাদি সবার জন্য একটি এন্টারটেইনমেন্ট এর বস্তু এবং জন্মক্ষণ হইতেই বলি প্রদত্ত ।

Thursday, August 7, 2014

' স্বপ্নের অপমৃত্যু , শিক্ষাব্যবস্থা ও আমরা '

 http://timesofindia.indiatimes.com/city/chennai/Engineering-college-student-commits-suicide-in-Chennai/articleshow/32314904.cms

http://www.dnaindia.com/mumbai/report-21-year-old-met-student-attempts-suicide-critical-2007231

http://timesofindia.indiatimes.com/city/kolkata/Unable-to-land-plum-job-Jadavpur-University-techie-kills-self/articleshow/39707237.cms

http://zeenews.india.com/bengali/zila/ssc-candidate-commited-suicide_22012.html

http://zeenews.india.com/bengali/kolkata/ssc-candidate-ill-no-respond-from-government_20336.html

http://zeenews.india.com/bengali/kolkata/suci-mp-stand-beside-ssc-protester_119277.html

উপরোক্ত লিঙ্ক গুলোতে ক্লিক করলেই একটা কমন ছবি পাওয়া যাবে ।
আমাদের দেশের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা , প্রতিযোগিতার ইদুঁর দৌড়ে হাজার হাজার কর্ম প্রার্থীর চেতনায় অবচেতনে স্থান করে নেওয়া হতাশার আত্মহত্যা যা গ্রাস করছে কতশত উজ্জ্বল মেধাকে ।
 সমস্যা কোথায় ? দূর্বল স্নায়ু , প্রতিযোগীতায় টিকে থাকার ব্যর্থ চেষ্টা , চাপ নিতে না পারার মানসিকতায়, নাকি শিক্ষাব্যবস্থার সারবত্তাশুন্য শুধু চাকরিবাজারের দখলদারির বার্তা ?
বোধ হয় সমস্যাটা আরো একটু গভীরে, যা শুরু হয় আমাদের পরিবার, বাবা-মা -আত্মীয়দের সোনামানিকরা যে বয়সে স্কুলে যায় সেই বয়স থেকে । শুধুই চরৈবেতী মন্ত্র আর পেছনে না ফেরার ফাটা রেডিও বাজানো এবং একে ওকে তাকে 'দেখে শেখ' মার্কা অমোঘ মন্ত্র । নিজের মানিক সোনাকে সফল দেখতে চান না এমন বাবা-মা নেই (অন্তত চাকুরিওয়ালা শিক্ষিত বাড়িতে) ।
 কিন্তু তাদের সাফল্যের সোপান নির্মানে কোথাও Skill Management এর অভাব থাকল কিনা , আমার সন্তানটি যে জীবনে শুধু উঠতে শিখেছে, নামতে নয় সে যদি পা-পিছলায় তবে আবার চেষ্টার কৌশলটি জেনেছে কিনা -- তা বেশিরভাগ মা-বাবা ভাবেনই না ।
তার ফলেই ঘটে


যেকোনও মৃত্যুই শোকের, আর  স্বপ্নের অপমৃত্যু সমাজের অপমান , রাষ্ট্র ও প্রজন্মের কাছে অবিরল প্রশ্ন করে যাওয়া অসহনীয় সাউন্ডবক্স, যার কোনো অফ সুইচ নেই । 
এই নিয়ে মনোবিদ, চিকিৎসক ও শিক্ষাবিদরা নানান কার্য-কারণ সম্পর্ক ও সমাধান সুত্র বাতলেছেন কিন্তু স্টুডেন্টদের সাইকোলোজি ও দেখার ধরণ বিন্দুমাত্র পাল্টেছে বলে তো মনে হয় না । এর জন্য শুধু তাঁদের দায়ী করা যায় না, এর কারণ এই সব মনোবিদ, শিক্ষাবিদ দের দেওয়া পরামর্শ সরকারের সিলেবাস কমিটি ও প্রতিযোগীতামূক পরীক্ষার বাজার কানেই তোলে নি । ভারত এক জন সমুদ্রের নাম, যে গর্বিত ভাবে ঘোষনা করে এদেশের ৬৫% জনগন হল যুব সম্প্রদায় । কিন্তু এবারো এদের প্রত্যেকের গর্বের কারণ হয়ে ওঠার চেষ্টা করেছে সরকার ? এই ৬৫% যুব সমাজকে নিয়ে সমীক্ষায় গর্ব করা সাজে, কিন্তু তাদের   অন্নসংস্থানের জন্য কি ব্যাবস্থা করেছে রাষ্ট্র ও তার শিক্ষা ব্যাবস্থা ? এখানে অনেকেই বলবে, কেন দেশে এখন প্রচুর স্কুল-কলেজ-নলেজ সিটি-ক্যাম্পাস উঠেছে , দিগন্ত ছুঁয়েছে দুর-শিক্ষাব্যাবস্থা যার দ্বারা দেশের পিছিয়ে পড়া, অনুন্নত শ্রেনীও বাড়ী বসে শিক্ষার আলো পাচ্ছে । হ্যাঁ পাচ্ছে ...১০০% হক কথা । কিন্তু তারপর... ? 
৫ম থেকে ৮ম শ্রেনী অবধি পাশ-ফেল তুলে দেওয়া হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক চাপ কমানোর জন্য । ৯ম -১০ম শ্রেনীর স্কুল ফাইনাল পরীক্ষায় গ্রেডেশন প্রথা আনা হয়েছে সেই একই মানসিক শক না লাগার জন্য ( যাতে নম্বর নিয়ে একে অপরকে দেখে তাদের মধ্যে প্যাঙ্ক না জন্মে , তাই ) । 
অথচ যখন সেই ছাত্রছাত্রী ১১-১২ ক্লাশের জন্য বাইরের স্কুলে যাচ্ছে তখন কিন্তু তার গ্রেড দিয়ে তাকে বিচার করা হচ্ছে না । কলেজে অ্যাডমিশনেও একইভাবে নম্বরের দাঁড়িপাল্লায় মাপা হচ্ছে মেধা । তাহলে ছোট থেকে কলেজ অবধি যে চাপ থেকে তাদের আড়াল করে আতুপুতু করে 'মানুষ' করল পরিবার, স্কুল, রাষ্ট্রের শিক্ষাব্যাবস্থা তার সারবত্তা কোথায় গিয়ে দাঁড়ালো ? ভালো কলেজে যখনই সে চান্স পেল না জন্মালো নিজের প্রতি তীব্র হতাশা, যার পরিনতি আতহত্যা । হ্যাঁ তারমধ্যেও কি সারভাইব করেনা বেশির ভাগ ? সবাই কি শেষ করে নিজেকে ? না, তা করে না ঠিকই । কিন্তু এই সমীক্ষাও তো ঠিক যে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন স্টুডেন্ট আত্মহত্যার চেষ্টা করে ।

এবারে আসা যাক, বৈধ চাকরিপ্রার্থীদের প্রতি সরকারের উদাসীনতা :
আজ ৪০ দিনে পড়ল গত বছরের পঃবঃ স্কুল সার্ভিস কমিশন আয়োজিত শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার  ফাইনাল মেরিট লিস্টে চান্স পাওয়া একদল বৈধ কর্মপ্রার্থীদের চলা অনশন । হ্যাঁ ... একটানা ৪০ দিন অতিক্রান্ত । এদের মধ্যে একজন প্রার্থী রুমা দাস আত্মহত্যা করেছেন সরকারের চরম ঔদাসিন্য দেখে , বেকারত্বের জ্বালায় ভুগতে ভুগতে । কলকাতা হাই কোর্টে ঝুলছে প্রায় ৭০+ টী মামলা এই নিয়োগ নিয়ে ।  আর সরকার কি করছে ? শুধু সস্তার নাটক ! বার বার চেঞ্জ হচ্ছে SSC Chairman  ।আর একের পর এক দিন কেটে যাচ্ছে হতাশায়, অনশনে, অসুস্থতায় ও অপমানে ।
এই সরকার নিজেই তো ক্ষমতায় এসেছে জমি নিয়ে মমতার ২৬ দিন অনশনের হাত ধরে । কিন্তু সেই গভঃ আজ ক্ষমতায় বসে ৪০ দিন ধরে চলা যোগ্য শিক্ষক কর্ম প্রার্থিদের না পারছে চাকরি দিতে , না পারছে তাদের উচিৎ প্রশ্নের জবাব দিতে আর না পারছে তাদের আশার কোনো আলো দেখাতে ! উল্টে এই অনশন মঞ্চের হোতাদের আলাদা ডেকে চাকরির অফার করছে, যাতে তারা বাকিদের বুঝিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট করতে পারে , নিজেদের আখের গুছিয়ে নিতে পারে ।এই সুযোগে নিপাট অরাজনৈতিক এই স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ মঞ্চ -এর সমর্থনে এগিয়ে আসছে বিরোধি বাম, ডান, অবাম, আল-বাল-ছাল , গেরুয়া , তেরঙ্গা পার্টির নানা প্রলোভন । চলছে রাজনীতির জঘন্য খেলা । মাঝখানে বলি হচ্ছে আরো বেশ কিছু রুমা দাস । স্বপ্ন গুলো প্রতিদিন ধর্ষিত হচ্ছে । মেধা গুলো ঝরে যাচ্ছে অকালেই ।
অথচ ভেবে দেখুন তো ,দেশ, রাষ্ট্র বা সরকার বাহাদুর চাইলেই কি পারে না রুমা দাস দের অকালে ঝরে যাওয়া থেকে বাঁচাতে ??


Tuesday, August 5, 2014

‘প্রসঙ্গ: তসলিমা নাসরিন, কিছু ট্যাবু ও আমাদের সাহিত্য পড়া’

তাঁকে আমরা ভালোবাসি বা না বাসি, সমর্থন করি বা না করি, তবু তাঁকে ঘিরে চায়ের কাপে আজও ঝড় ওঠে সে মধ্যবিত্তের তলতলে জীবনযাপনেই হোক বা তাবর রাজনীতিবিদের টেবিল ঠোকা বৈঠকি বিকেলেই হোক । তাঁর ক’টা বই বেরল বা ব্যান হল, কেমন আছেন তিনি , কোথায় কাটছে তাঁর জীবন সেটা জানি বা না জানি, তবু আজো তাঁকে নিয়ে কম লেখালিখি কিন্তু হয় না । প্রিন্ট মিডিয়ায় কথা বলছি না, সোসাল সাইট গুলোর ‘ভার্চুয়াল পাঠশালার’ কথাই বলছি । সে যাই হোক আজ এতখানি পথ পেরিয়ে এসবে তাঁর কিছু যায় আসে না ।
হ্যাঁ আমাদের যায় আসে ।                                                                                             
আমরা মানে গুটিকয় সচেতন আর কোটি কোটি অচেতন বা অর্ধচেতন পাব্লিক যারা কাগজে তাঁর নাম দেখলে গোগ্রাসে সেটি পড়ে, মিডিয়ার দেওয়া গালভরা গাল ‘বিতর্কিত লেখিকা’ শিরোনাম পড়ে চুক চুক আওয়াজ তোলে জিভ-টাগরায় এবং অবশ্যই চায়ের কাপে ।
তারপর একদল বলে : ‘কি লাভ এসব বিতর্কে জড়িয়ে ? এখানে কি আছে খালি ব্যান ,নয় বিতর্ক ! বরং সুইডেনে উনি নাগরিকত্ব নিয়ে স্বচ্ছন্দে বাস করলেই পারেন ।‘

একদল বলে: ’ কি আর করবে সংসার তো পেল না, বই আর বিতর্ক লিখেই এবং গাল খেয়েই দিন কাটে । ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো আর কাকে বলে ! যত্তসব !”

একদল যোগ করে : ‘ জীবনে ধর্ম মানে না । মেয়েমানুষ হয়ে অত ঠোঁট কাটা হলে চলে ? ওর পাপ লাগবে না তো কি আমাদের লাগবে ? এত জিভ-ছোলা কথা বললে ধর্মে সইবে নাকি ! এখনো সময় আছে তোওবা করে ধর্মের পথে আসুক। নিজের ঘরে ফিরতে পারবে । নইলে আজীবন নির্বাসন ঘুচবে না। দেশ থেকে ও আপদ আমরা তাড়িয়েই ছাড়ব ।’

আর একদল ‘প্রগতিশীল’ হাঁ হাঁ করে তেড়ে এসে বলে : ‘কেন? এদেশে যদি আজমল কাসভের মত ইন্টারন্যাশানাল জংগি , আফতাব আন্সারির মত ন্যাশানাল জংগি, কোটি কোটি চোর পলিটিশিয়ান এবং আমাদের এত শত বিতর্কিত বুদ্ধিজীবি থাকতে পারে, তবে তসলিমা কেন নয় ?’
                     অবাক হই । যেন তসলিমার থাকার সাথে দাগানো খুনি-জংগির নামগুলোই একমাত্র উদাহরণ ! নেগেটিভিটির মাঝে যে মানুষটা পজেটিভ ভাইব ছড়ানোর জন্য প্রাণপাত করছেন ,অন্ধকারের মাঝে থেকেও যিনি সত্যের টর্চ হাতছাড়া করেননি এক মুহুর্তও, তার সাথে কেবল অন্ধকার জগতের লোকের তুলোনা হচ্ছে !!

আমার মনে আছে , স্কুলে পড়া বয়সে ক্লাশ এইট হবে, সম্ভবত ১৯৯৯, এক বন্যার সময়ে বাবার বইয়ের আলমারী থেকে হাতে পড়েছিল ‘নির্বাচিত কলাম’ এবং ‘লজ্জা’ ।আগে তুলে নিয়েছিলাম ‘নির্বাচিত কলাম’ বইটি । পড়তে শুরু করেছিলাম শুয়ে শুয়ে এক দুপুরবেলা আর পাঁচটা গল্পের বই পড়ার মত, ভাত ঘুম দেওয়ার আগে। বেশ মনে আছে বইটা যখন শেষ করেছিলাম রাত তখন ৮ টা এবং আমি সোজা হয়ে উঠে বসে পড়েছিলাম, নিজেরও অজান্তে। ঘুমের ঘোরেও দু’চোখের পাতা অনেক দেরিতে এক হয়েছিল । ‘লজ্জা’ ওই বয়সে পড়ে কিছুই বুঝি নি । কোন ইতিহাসের কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে লেখা জানতাম না, পড়ার বইয়ের বাইরে খবরের কাগজের সাথে আলাপ ছিল না । বইগুলো লুকিয়ে পড়েছিলাম বাবার বকার ভয়ে , সেই শুরু লুকিয়ে পড়ার, লুকিয়ে লেখার এবং অনেক কিছু লুকানো থেকে বের করে আনার । পরে মেয়েবেলার শেষ লগ্নে গিয়ে এবং বড়বেলায় এখনো দেখি তাঁর নামের সাথে ‘লুকানো’ শব্দটিও এমনি এঁটুলির মত সেঁটে আছে যে আনন্দবাজারে পত্রিকায় তাঁর ইন্টারভিউও বেরোল ‘তুই নিষিদ্ধ,তুই কথা কইসনা’ শিরোনামে । তবে হ্যাঁ সেদিনের ওই লুকিয়ে তসলিমা পড়ার জন্যই হোক আর যাই হোক মেরুদন্ডটা বড্ড ঋজু হয়ে গেছে ।

তাঁকে নিয়ে আলাপ চারিতায় মূলত যে যে ‘নিষিদ্ধ পয়েন্ট’ ট্যাবু আকারে বেরিয়ে আসে তা হল :

১। তসলিমার লেখাগুলো সাহিত্য পদবাচ্য নয়:  আমার এক বাংলা অনার্স বান্ধবী বলেছিল ‘ওকে আমি সাহিত্যিকের পর্যায়ে ফেলিই না । ওর লেখায় রগরগে ব্যাপার বেশি, স্নিগ্ধতা নেই একদম।‘
আমি বলি, ‘হ্যাঁ রে , বাংলা সাহিত্য পদবাচ্য লেখা মানেই কি কাল্পনিক মিথ্যার আশ্রয়ে কিছু হিরো- হিরোইনের কাহিনী থাকতে হবে ? যেখানে প্রেমঘন সেক্সদৃশ্য বর্ননা করার সময় মিষ্টি মিষ্টি কথার আড়ালে নায়কের মুখে লেখক লিখবেন ‘কই,আমার সাদা পায়রা দুটো কই । তারা যে আমার হাতে আদর খাওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে, আমি জানি। কাছে এস...‘ –আর সেটা পড়ে ‘নাজুক নাজুক’ বলে পাঠকের অন্তর্বাস ভিজে যাবে গোপন কামে । তবু সেটা সুন্দর । কারন সে গল্পের ঢাল আছে “এই গল্পের সাথে বাস্তবের কোনো মিল নেই । বাস্তবের কোন ঘটনা-স্থান-পাত্রের সাথে যদি কোনও মিল পান তা নিছক কাকতালীয়!”
না, তসলিমার কলম এসব ঢাল নিয়ে চলতে রাজী না । কারন উনি যা লেখেন তা আমার-তোমার জীবন থেকে সেঁচে নেওয়া বিষয় । জীবনাদর্শ নিয়ে যা বলেন সেই জীবন উনি যাপন করেন । আর বাংলা সাহিত্যের কোন বিশ্বকোষে লেখা আছে ‘ সাহিত্যের সাথে মিথ্যে কষ্ট কল্পনার নিরব আঁতাত থাকতেই হবে ?’ এমন কোন সংজ্ঞা আছে যে, সাহিত্যিকের সত্য বলা নিষিদ্ধ ?লেখক যে জীবন কাটান আর যে জীবন লেখেন তার মাঝে থাকতে হবে যোজন দূরত্ব ? আছে যদি, তবে আমায় দেখাও ।

২। তসলিমা মেয়েদের জন্য লেখে ভালো কথা , কিন্তু বড্ড বেশি ধর্ম-বিদ্বেষী : আমি বলি, ‘ধর্ম মানবো আবার নারীমুক্তি / নারীর অধিকার নিয়ে গলাও ফাটাবো’ সেটা যদি চাও তাহলে আমায় সোনার পাথরবাটি এনে দেখাও ! কারন ও দুটো তো একসাথে চলতে পারে না, এটা তো মেয়েরা জীবন দিয়ে প্রমান করেছে যুগে যুগে । ওরা বলে , ‘প্রকৃত ধর্ম তো এরম না, মানুষ এমন বানিয়েছে । ধর্মকে corrupt  করেছে ।
--“ ও মা ! তাহলে ধর্মও যে politician দের মত রং চেঞ্জ করে corrupt হতে পারে তা স্বীকার করছ তো, ধর্মও তাহলে কাঁচের বাটিতে রাখা জল, যাকে যখন খুশি ধর্ম ব্যাবসায়ীরা ব্যাবহার করে, কুলকুচি করে, কফ থুথু দেয়, আবার গংগা জলের মত পূজাও করে ! এর চেয়ে কি নাস্তিকতা ভাল না ?’

৩। তসলিমা পুরুষ বিদ্বেষী আমায় কিছু জন বলেছে, বেশি ওপেনলি ওঁর অনুগামী হতে যেও না। পুরুষ বিদ্বেষী তো তাই ওর অনুরাগী হলে  আর এ জন্মে তোমার বিয়ে হবে না ।
--কেন ?
-- তুমি জানো না, তসলিমার লেখা মানতে গিয়ে কত কত সংসারে আগুন লেগেছে । কত সম্পর্ক ভেংগেও গেছে ওর জন্য ।
তাই কি ? কটা বই পড়েছে ওরা তসলিমার, যারা দাবি করছে ও পুরুষ বিদ্বেষী / সংসার বিরোধী ? আসলে কিন্তু সম্পর্কগুলো অন্য কারুর জন্য ভাংগে না, ভাংগে নিজেদের কারনেই । আর যদি অন্য কাউকে দায়ি করার মত অবস্থা দাঁড়ায় তখন সেই সম্পর্কের ভিত্তি নিয়েই প্রশ্ন ওঠে । সত্যকে চেপে মিথ্যে দিয়ে সুখের বাড়ি নির্মান করা যায় না । পুরুষ-নারী সমতা যেখানে থাকবে সেখানে সংসারে ফাটল ধরবে কি করে? এর জন্য পুরুষ বিদ্বেষী বা নারীপ্রেমীর প্রশ্ন আসে কি করে!

এরম আরো অজস্র ট্যাবু তৈরি আছে তসলিমার নামের সাথে । মিডিয়া এই সব ট্যাবুগুলোর ওপর ভর করেই খবর বানায় । তাই তাঁর কোন বই ব্যান হল তার খবর পেপারে ওঠে, তাঁর কোন বই বিদেশে বেষ্ট সেলার হল তার খবর থাকে না । তাঁকে ঘিরে রাজনীতির নোংরা খেলার হলুদ সাংবাদিকতা হয়, যা চেপে যায় তাঁর অক্সফোর্ডে লেকচার , জাতি-সংঘে বক্তৃতার, সান্মানিক ডিগ্রী প্রাপ্তি, ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের তুমুল ক্লাশ - এরম আরো অজস্র উজ্জ্বল কৃতিত্বকে । কেন? এসব লিখলে কি পেপারের কাটতি কম হবে? না, এসব লিখলে মোল্লাতন্ত্রের ধমক নানা রঙ্গের পার্টির ওভারহেড ফোনের দ্বারা সংবাদপত্রের অফিসে আছাড়বে, যা আদপেই কোনো ‘নির্ভিক সাংবাদিক’ চাইবে না । তাই ছাপা হোক বিতর্কিত খবর, যদি উনি কিছু নাও বলেন তবু তাঁর মুখে বসানো হোক এমন শব্দ , যা মানুষ এবং মোল্লা ‘খায় ভালো’ !
কিন্তু মুখে না বললেও তসলিমার অতি বড় সমালোচকও এটা স্বীকার করতে বাধ্য হবেন,সাহিত্যের আন্তর্জাতিক বাজারে যে ক’টা মুষ্টিমেয় মাতৃভাষায় সাহিত্য চর্চাকারী আছেন , তসলিমা তাদের মধ্যে বঙ্গ তথা বাংলা সাহিত্যের একমাত্র উজ্জ্বল প্রতিনিধি এবং বেষ্ট সেলার লেখক । তাঁর লেখাকে আমরা যতই গালি দিই, লুকিয়ে পড়ি ,উপন্যাস-কবিতার পাতার পেঁয়াজ ছাড়াই, কখোনও কাঁদি, কখোনও ‘ব্যান কর এ আবর্জ্জনা’ বলে ছুঁড়ে ফেলি না কেন বাংলা ভাষার একমাত্র অভিবাসী লেখক হিসেবে আজকের প্রজন্ম তাঁকেই চেনে । হ্যাঁ শুধু তাঁকেই – যিনি গোল্লাছুট খেলতে খেলতে কখন যেন নিজের অজান্তেই খেলা থেকে বাদ পড়েছেন , নির্বাসিত হয়েছেন আমাদের জন্য আমাদের হয়ে আমাদের দাবীগুলো গুছিয়ে বলার জন্য আমাদেরই প্রানের বাংলা থেকে । ‘সেই সব অন্ধকার’ আর ‘নেই, কিছু নেই’ এর মধ্যে বাঁচতে বাঁচতেও তিনি স্বপ্ন দেখেছেন এমন এক সাম্যের সমাজ গঠনের যেখানে থাকবে না কোনো কাঁটাতার, প্রতিষ্ঠা পাবে এক সুন্দর জাতি – ‘মানুষ’ যার নাম । আমরা তাঁকে সন্মান জানানো ত দূরে থাক, প্রয়োজন বোধ করিনি কি লিখেছে তা পড়ে দেখার ।

সত্যি সেলুকাস, তাঁর জীবন এক বিচিত্র জার্নি , অন্ধকার থেকে আলোর দিকে । আবার অনেক আলোকময় পৃথিবী প্রান্তের হাতছানি থাকা সত্বেও যিনি ফিরে আস্তে চান সেই অন্ধকূপ পাঁকের জন্মভূমিতে, হাত বাড়াতে চান অজ্ঞানতায় ডুবতে থাকা মানুষ গুলোর দিকে –তারা যাতে আলোর পথে আসতে পারে ।

তাঁর সত্যের পথ যদি আজ রুদ্ধ হয়, সত্যি বলার জন্য যদি তাঁর নাম আজ ব্রাত্য হয় তবে বলতেই হয় :  যদি তসলিমা ব্যান হয় , তবে ব্যান হোক শিশুপাঠ্য হিসেবে আবশ্যিক নীতিপাঠ গুলোও:
·         সদা সত্যং বদ
·         সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি /সারা দিন আমি যেন সৎ পথে চলি ।

আমরা যাই করিনা কেন, কথা সেটা না, তিনি আমাদের চেয়ে অনেক অনেক বেশী ম্যাজিক ও রিয়ালিটি । তাঁকে ধরে রাখতে না পারলে সেটা তাঁর অসন্মান নয়, কারণ তিনি সে সবের অনেক উর্দ্ধে অবস্থিত, সেটা দেশের এবং জাতির কাছে লজ্জার । কারন , মূল্যবান রত্নের ছটা নিয়ে অনেক তুফান তোলা বিতর্কসভা করা ছাড়া তার আসল মূল্য এই অভাগা অর্ধশিক্ষিত জাতি কখনো কি দিতে পেরেছে ? তাই তো আমরা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠসময় নিয়ে বুলি কপচাই, সোপ-অপেরা করি আর শ্রেষ্ঠ এক সৎ-সাহসী বাঙালি সাহিত্যিককে নির্বাসনে পাঠাই, রাজনীতির নাটক করি ,আবার ঠুঁটো জগন্নাথের মত দেখিও ।