My Attitude!

My Attitude!

Pages

My Blog List

Meet and Recognise-- I, Me and MySelf...!

@@@ ~WELCOME TO MY CYBER WORLD~ @@@











~~~ I am My Own Music, People Want to Get in Touch With Me... Play Your Lyrics By My Rhythm ~~~



Thursday, August 7, 2014

' স্বপ্নের অপমৃত্যু , শিক্ষাব্যবস্থা ও আমরা '

 http://timesofindia.indiatimes.com/city/chennai/Engineering-college-student-commits-suicide-in-Chennai/articleshow/32314904.cms

http://www.dnaindia.com/mumbai/report-21-year-old-met-student-attempts-suicide-critical-2007231

http://timesofindia.indiatimes.com/city/kolkata/Unable-to-land-plum-job-Jadavpur-University-techie-kills-self/articleshow/39707237.cms

http://zeenews.india.com/bengali/zila/ssc-candidate-commited-suicide_22012.html

http://zeenews.india.com/bengali/kolkata/ssc-candidate-ill-no-respond-from-government_20336.html

http://zeenews.india.com/bengali/kolkata/suci-mp-stand-beside-ssc-protester_119277.html

উপরোক্ত লিঙ্ক গুলোতে ক্লিক করলেই একটা কমন ছবি পাওয়া যাবে ।
আমাদের দেশের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা , প্রতিযোগিতার ইদুঁর দৌড়ে হাজার হাজার কর্ম প্রার্থীর চেতনায় অবচেতনে স্থান করে নেওয়া হতাশার আত্মহত্যা যা গ্রাস করছে কতশত উজ্জ্বল মেধাকে ।
 সমস্যা কোথায় ? দূর্বল স্নায়ু , প্রতিযোগীতায় টিকে থাকার ব্যর্থ চেষ্টা , চাপ নিতে না পারার মানসিকতায়, নাকি শিক্ষাব্যবস্থার সারবত্তাশুন্য শুধু চাকরিবাজারের দখলদারির বার্তা ?
বোধ হয় সমস্যাটা আরো একটু গভীরে, যা শুরু হয় আমাদের পরিবার, বাবা-মা -আত্মীয়দের সোনামানিকরা যে বয়সে স্কুলে যায় সেই বয়স থেকে । শুধুই চরৈবেতী মন্ত্র আর পেছনে না ফেরার ফাটা রেডিও বাজানো এবং একে ওকে তাকে 'দেখে শেখ' মার্কা অমোঘ মন্ত্র । নিজের মানিক সোনাকে সফল দেখতে চান না এমন বাবা-মা নেই (অন্তত চাকুরিওয়ালা শিক্ষিত বাড়িতে) ।
 কিন্তু তাদের সাফল্যের সোপান নির্মানে কোথাও Skill Management এর অভাব থাকল কিনা , আমার সন্তানটি যে জীবনে শুধু উঠতে শিখেছে, নামতে নয় সে যদি পা-পিছলায় তবে আবার চেষ্টার কৌশলটি জেনেছে কিনা -- তা বেশিরভাগ মা-বাবা ভাবেনই না ।
তার ফলেই ঘটে


যেকোনও মৃত্যুই শোকের, আর  স্বপ্নের অপমৃত্যু সমাজের অপমান , রাষ্ট্র ও প্রজন্মের কাছে অবিরল প্রশ্ন করে যাওয়া অসহনীয় সাউন্ডবক্স, যার কোনো অফ সুইচ নেই । 
এই নিয়ে মনোবিদ, চিকিৎসক ও শিক্ষাবিদরা নানান কার্য-কারণ সম্পর্ক ও সমাধান সুত্র বাতলেছেন কিন্তু স্টুডেন্টদের সাইকোলোজি ও দেখার ধরণ বিন্দুমাত্র পাল্টেছে বলে তো মনে হয় না । এর জন্য শুধু তাঁদের দায়ী করা যায় না, এর কারণ এই সব মনোবিদ, শিক্ষাবিদ দের দেওয়া পরামর্শ সরকারের সিলেবাস কমিটি ও প্রতিযোগীতামূক পরীক্ষার বাজার কানেই তোলে নি । ভারত এক জন সমুদ্রের নাম, যে গর্বিত ভাবে ঘোষনা করে এদেশের ৬৫% জনগন হল যুব সম্প্রদায় । কিন্তু এবারো এদের প্রত্যেকের গর্বের কারণ হয়ে ওঠার চেষ্টা করেছে সরকার ? এই ৬৫% যুব সমাজকে নিয়ে সমীক্ষায় গর্ব করা সাজে, কিন্তু তাদের   অন্নসংস্থানের জন্য কি ব্যাবস্থা করেছে রাষ্ট্র ও তার শিক্ষা ব্যাবস্থা ? এখানে অনেকেই বলবে, কেন দেশে এখন প্রচুর স্কুল-কলেজ-নলেজ সিটি-ক্যাম্পাস উঠেছে , দিগন্ত ছুঁয়েছে দুর-শিক্ষাব্যাবস্থা যার দ্বারা দেশের পিছিয়ে পড়া, অনুন্নত শ্রেনীও বাড়ী বসে শিক্ষার আলো পাচ্ছে । হ্যাঁ পাচ্ছে ...১০০% হক কথা । কিন্তু তারপর... ? 
৫ম থেকে ৮ম শ্রেনী অবধি পাশ-ফেল তুলে দেওয়া হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক চাপ কমানোর জন্য । ৯ম -১০ম শ্রেনীর স্কুল ফাইনাল পরীক্ষায় গ্রেডেশন প্রথা আনা হয়েছে সেই একই মানসিক শক না লাগার জন্য ( যাতে নম্বর নিয়ে একে অপরকে দেখে তাদের মধ্যে প্যাঙ্ক না জন্মে , তাই ) । 
অথচ যখন সেই ছাত্রছাত্রী ১১-১২ ক্লাশের জন্য বাইরের স্কুলে যাচ্ছে তখন কিন্তু তার গ্রেড দিয়ে তাকে বিচার করা হচ্ছে না । কলেজে অ্যাডমিশনেও একইভাবে নম্বরের দাঁড়িপাল্লায় মাপা হচ্ছে মেধা । তাহলে ছোট থেকে কলেজ অবধি যে চাপ থেকে তাদের আড়াল করে আতুপুতু করে 'মানুষ' করল পরিবার, স্কুল, রাষ্ট্রের শিক্ষাব্যাবস্থা তার সারবত্তা কোথায় গিয়ে দাঁড়ালো ? ভালো কলেজে যখনই সে চান্স পেল না জন্মালো নিজের প্রতি তীব্র হতাশা, যার পরিনতি আতহত্যা । হ্যাঁ তারমধ্যেও কি সারভাইব করেনা বেশির ভাগ ? সবাই কি শেষ করে নিজেকে ? না, তা করে না ঠিকই । কিন্তু এই সমীক্ষাও তো ঠিক যে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন স্টুডেন্ট আত্মহত্যার চেষ্টা করে ।

এবারে আসা যাক, বৈধ চাকরিপ্রার্থীদের প্রতি সরকারের উদাসীনতা :
আজ ৪০ দিনে পড়ল গত বছরের পঃবঃ স্কুল সার্ভিস কমিশন আয়োজিত শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার  ফাইনাল মেরিট লিস্টে চান্স পাওয়া একদল বৈধ কর্মপ্রার্থীদের চলা অনশন । হ্যাঁ ... একটানা ৪০ দিন অতিক্রান্ত । এদের মধ্যে একজন প্রার্থী রুমা দাস আত্মহত্যা করেছেন সরকারের চরম ঔদাসিন্য দেখে , বেকারত্বের জ্বালায় ভুগতে ভুগতে । কলকাতা হাই কোর্টে ঝুলছে প্রায় ৭০+ টী মামলা এই নিয়োগ নিয়ে ।  আর সরকার কি করছে ? শুধু সস্তার নাটক ! বার বার চেঞ্জ হচ্ছে SSC Chairman  ।আর একের পর এক দিন কেটে যাচ্ছে হতাশায়, অনশনে, অসুস্থতায় ও অপমানে ।
এই সরকার নিজেই তো ক্ষমতায় এসেছে জমি নিয়ে মমতার ২৬ দিন অনশনের হাত ধরে । কিন্তু সেই গভঃ আজ ক্ষমতায় বসে ৪০ দিন ধরে চলা যোগ্য শিক্ষক কর্ম প্রার্থিদের না পারছে চাকরি দিতে , না পারছে তাদের উচিৎ প্রশ্নের জবাব দিতে আর না পারছে তাদের আশার কোনো আলো দেখাতে ! উল্টে এই অনশন মঞ্চের হোতাদের আলাদা ডেকে চাকরির অফার করছে, যাতে তারা বাকিদের বুঝিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট করতে পারে , নিজেদের আখের গুছিয়ে নিতে পারে ।এই সুযোগে নিপাট অরাজনৈতিক এই স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ মঞ্চ -এর সমর্থনে এগিয়ে আসছে বিরোধি বাম, ডান, অবাম, আল-বাল-ছাল , গেরুয়া , তেরঙ্গা পার্টির নানা প্রলোভন । চলছে রাজনীতির জঘন্য খেলা । মাঝখানে বলি হচ্ছে আরো বেশ কিছু রুমা দাস । স্বপ্ন গুলো প্রতিদিন ধর্ষিত হচ্ছে । মেধা গুলো ঝরে যাচ্ছে অকালেই ।
অথচ ভেবে দেখুন তো ,দেশ, রাষ্ট্র বা সরকার বাহাদুর চাইলেই কি পারে না রুমা দাস দের অকালে ঝরে যাওয়া থেকে বাঁচাতে ??


2 comments:

  1. এ ব্যাপারে কোনও দ্বিমত নেই যে এইটি একটি প্রাসঙ্গিক বিষয়। এই প্রাসঙ্গিকতা চিরকালের হয়ে দাঁড়ালেই সব থেকে বড় যন্ত্রণার। সব সন্তানের কপালে এমন বাবা মাও আজকাল কম জোটে যারা নিজেদের সন্তান কে সব কিছু বাদ দিয়ে আগে মানুষ হতে বলে। মানুষের মতো মানুষ হতে বলে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় নিজেদের অপূর্ণ আশা সন্তানকে দিয়ে পূরণ করাতে গিয়ে একটা প্রজন্ম তার আগামী প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, জান্তেই হোক বা অজান্তে। আর এই ধ্বংসের হাত থেকে কোনও রকমে যারা মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে তারা তৈরি হচ্ছে আগামী কে ধ্বংসের পথে প্ররোচিত করতে, সে বাবা মা-ই হোক বা স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা, অফিসের বস, এমনকি নিজের অতি নিকটের মানুষটি পর্যন্ত । তুমি যেহেতু সফল নও, তার দায়ও তোমারই। এই ভাবে চারপাশের মুক্ত বায়ুর , আলোর পরিধি ক্রমশ ছোট হয়ে আসতে আসতে এক সময় নিজের ছায়াটা পর্যন্ত পর হয়ে দাঁড়ায় চরম অন্ধকারে। শিশুর মন বোঝা সত্যি অনেক কঠিন। আর বুঝতে গেলে বড়দের মনকেও ছোটদের পর্যায় নামাতে হয়, যেটা তারা করে উঠতে পারে না সময়াভাবে কিংবা শিক্ষার অভাবে। ফলে হয় কি, প্রথমে শৈশব , তারপর কৈশোর বিনষ্ট হয়, তারপর শুরু হয় হতাশা। নরবরে প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে বর্তমান যুগের সাথে অভিযোজিত হতে না পারার মাশুল দিতে হয় নিজের জীবন দিয়ে। সরকারের বাহাদুরি শুধুমাত্রই আত্মকেন্দ্রিক, ক্ষমতায় আসার জন্যে তারা মানুষের কথা বলে, মানুষের বঞ্চনাকে পাথেয় করে, মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলে, ফলে বহু প্রতিশ্রুতির জন্ম হয়। ক্ষমতায় এলে ওসবের আর গুরুত্ব থাকে না। তখন গুরুত্বপূর্ণ হল, কিভবে ক্ষমতায় তিকে থাকতে হবে। সরকারের প্রতিটি কাজের পেছনে থাকে নিজেদের শিকড় মজবুত করার, নিজেদের প্রচারের কৌশল। এছাড়া আর কিছুই নয়। যদি অনুসন্ধান করে দেখা যায়, এই পার্টির ক্যাডার সমূহ, এরা কারা, এদের বয়স কি ধরণের, কোথা থেকে এসেছে, কেন পার্টির ক্যাডার হয়েছে, পার্টিকে ভালোবেসে নাকি এর পেছনেও আরও অন্য কারনও রয়েছে, এগুলো পর্যালোচনা করলে অনেকগুলো সত্যির মধ্যে একটা সত্য উঠে আসবে এই যে, এই সমস্ত রাজনৈতিক দল যুব সমাজের অপ্রাপ্তি, হতাশা, সামাজিক বৈষম্যজাত ক্রোধ ইত্যাদিকে ভুল দিশা দিয়ে নিজেদের কাজে লাগাতে অনেক বেশী তৎপর। যুব আবেগের তেজ থাকে, আগুন থাকে, প্রচন্ড শক্তি থাকে, কিন্তু তা যদি দিশাহীন হয়, তাঁকে যেকোনো ভুল অভিমুখ দেওয়া যায়, ধ্বংসাত্মক অভিমুখ দেওয়ে যায়, খুব সজেই । এই যাদের উদ্দেশ্য তারা কিছুতেই এই অকালে ঝরে যাওয়াকে ঠেকাতে চাইবে না, চায় না, চাইতে পারে না।

    ReplyDelete
  2. অনেক ধন্যবাদ লেখাটি ধৈর্য্য ধরে পড়ার জন্য ও সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করার জন্য । বর্তমান ইঁদুর দৌড় মার্কা শিক্ষা ব্যবস্থার যূপকাষ্ঠে অকালেই এভাবে ঝড়ে যাচ্ছে কত শত না-ফোটা ফুল ।

    ReplyDelete