ধর্ম ও তার প্রচারক গ্রন্থগুলি মানুষের হাতের এমন ক্রীড়নক যে, প্রয়োজনে মানুষ ভগবানকে কাপড় পরাচ্ছে, প্রয়োজনে উলঙ্গও করছে ।
মানুষের হাতেই ধর্ম তার ধ্বজভঙ্গ দশা লাভ করেছে । এই যেমন, শিবরাত্রিতে হাট করে মন্দির খুলে ভক্তদের ঢালা দুধে শিবলিঙ্গ চকচকে করার বিধি , আবার অম্বুবাচীতে কামাখ্যায় স্থিত সতীযোনী রজঃস্বলা হলে সে মন্দির ৪ দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়ার বিধি ।
ভাল স্বামী পাওয়ার 'বর' দেওয়া শিবলিঙ্গ প্রদর্শনে বীর্যবান পৌরুষিক আভিজাত্য আছে । কিন্তু কামাখ্যার কেসে 'মা' নাকি তখন অশুচি । 'পিরিয়ড' শেষে ৫ দিনের দিন মা-কে স্নান করিয়ে শুদ্ধ করে তবে ভক্তদের জন্য মন্দির আবার খুলে দেওয়া হয় । এই ক'দিন ব্যাপক মেলা -জমজমাট আয়োজন চলতে থাকে পুরো কামাখ্যা জুড়েই, ঠিক যেমন শিবরাত্রিতেও ভক্তদের মেলা -ধুমধাম আয়োজন চলতেই থাকে ।
এখন ব্যাপার হল ,যারা বিশ্বাস করেন শিবরাত্রিতে উপোস করে শিবের লিঙ্গে দুধ ঢাললে ভাল স্বামী পাওয়া যায় , তাদের এটাও বিশ্বাস করা উচিৎ , অম্বুবাচীর সময় উপোস করে কামাখ্যার রজঃস্বলা সতীযোনীতে দুধ ঢাললে ভাল স্ত্রী পাওয়া যায় ।
অম্বুবাচীর রজঃস্বলা সতীযোনী পূজা উপলক্ষে মেলা , ভিড় , আয়োজন , প্যাকেজ এত কিছু । অথচ সেই মন্দিরই থাকে বন্ধ ওই বিশেষ ৪ দিন । তা যার জন্য এত আড়ম্বড় , আয়োজন সেই দেবী যোনীই দর্শন বন্ধ রেখে মেলা করার কী অর্থ ?
ধর্মের কারবারিদের মগজস্থিত ডিকহেড স্বত্ত্বা জীবনভর তাদের রক্তে লালিত হয় দৈবিক শক্তিতে, কিন্তু পূন্যলাভের মাপকাঠি এত ভিন্ন হয় কেন ?
নাকি বীর্যবান লিঙ্গের প্রদর্শন রজঃস্বলা যোনী প্রদর্শনের চেয়ে কম অশ্লীল ? সে মানুষই হোক আর দ্যাবতাই হোক !
নাকি বীর্যবান লিঙ্গের প্রদর্শন রজঃস্বলা যোনী প্রদর্শনের চেয়ে কম অশ্লীল ? সে মানুষই হোক আর দ্যাবতাই হোক !
অনেকেই বলবেন , এসবের পৌরানিক গল্প আছে । 'মিথ' এর আধার আছে । তা, ধর্মের জন্মের জন্য তো মিথ্যের ম্যারিনেশান লাগবেই যা থেকেই সৃষ্ট হবে 'মিথ' নামক মিথ্যের বেসাতি ।
পৌরানিক গল্পে যখন তখন মুনিঋষিরা যেকোনো রাজকন্যেকে চোখের পলকে 'মা' বানিয়েছেন । যে কোনো দেবতা তপস্যার সিদ্ধিলাভ হিসেবে জ্ঞান , বুদ্ধি ভিক্ষা দেন নি । 'সন্তান' দিয়েছেন । তারফলে কত কেচ্ছা যে ঘটেছে ধর্মশাস্ত্র অনুযায়ী । ইসলামেও এসবের ছড়াছড়ি । মুসলিমরা যে নবীর নাম নেওয়া মাত্রই 'peace be upon him' উচ্চারণ করেন , বারবার করে যাঁর জান্নাতপ্রাপ্তির তদবির করা হয় আল্লার কাছে , সেই ব্যক্তি যে কি পরিমান বিচিত্রবীর্য ছিলেন তা খুদায় মালুম ! ১৩ খানা বউকে নিয়ে আপাদমস্তক একছত্র হারেমখানার মালিক হিসেবে জীবন কাটিয়েছে । প্রয়োজনে আল্লাতায়লাকে ব্যবহার করেছে ,যখন যা খুশি তাঁকে দিয়ে লিখিয়েছে এবং সে পথ ধরেই তার শিষ্যরা সেসব লেখার যা খুশি মানে বের করেছে । কোরানে এমন কি সঙ্গম করার সুরা পর্যন্ত ঠাঁই পেয়েছে ।
অর্থাৎ ধর্মব্যবসায়ীদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে কেবল কাম আর কাম । নারী দেহ মাত্রেই তাদের প্রতি কেবল বীর্য বর্ষনের নির্দেশ নানা স্টাইলে , নানা শব্দের মারপ্যাঁচে । সে নারী পৌরানিক হোক, রানী হোক , দেবতা হোক , মনীষী হোক আর শিবের বৌ-ই হোক না কেন , যেহেতু সে নারীশ্রেনীর প্রতিনিধি , দেহে তাঁর স্তন , যোনী ইত্যাদি লোভনীয় মাংসপিন্ড আছে সুতরাং সেগুলো নিয়ে ইচ্ছেমত ধর্মীয় বিধান রচিত হয়েছে । পুরুষ, কখনো পণ্ডিতের বেশে ,কখনো পুরুতের বেশে ,কখনো পান্ডাদের বেশে সেসব ঐশ্বরিক প্রাইভেট পার্টস নিয়ে ইচ্ছেমত দলিত মথিত করে নানা রিচুয়াল বানিয়েছে 'বারো মাসে তেরো পার্বনে'র বিচিত্র নাম দিয়ে।
তা সে শিবলিঙ্গ চন্দন চর্চিত করে স্বামী কামনায় হোক বা মক্কায় 'হজর-এ-আওসাদ' নামক যোনী রূপী পাথরে চুমু খেয়ে 'হজে'র পূন্য কামনায় হোক , ধর্মচর্চার সাথে রতিক্রিয়ার যোগ প্রবল ।
তা যা দিয়ে শুরু করেছিলাম, এখন অম্বুবাচীর সিজিন । দেবী ঋতুমতী হয়েছেন । মন্দির খুলবে পরশুদিন । সে খবর পড়ে-টরেই ভাবছিলাম , ব্রহ্মদেব যদি জানতেন দ্যাবতাদের প্রাইভেট পার্টস নিয়েও মর্ত্যে কী বীভৎস ছেনালিপনা চলে ; তাহলে শিবকে নির্ঘাত 'ত্রাহি মাম' নোটিশে তৃতীয় নেত্রে সব ভষ্ম করার নির্দেশ দিতেন !
No comments:
Post a Comment